মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লেমেটরি সিনড্রোম করোনাভাইরাসের সাথে সম্পর্কিত নতুন রোগ। বাংলাদেশেও শনাক্ত হয়েছে এ রোগ।
করোনাভাইরাস মানুষের উপর কী ধরণের প্রভাব ফেলতে পারে সেটি নিয়ে প্রতিনিয়ত নতুন তথ্য যোগ হচ্ছে।
এ ভাইরাসের কারণে মানবদেহে এমন কিছু প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে যেটির প্রভাব বেশ মারাত্মক।এপ্রিল মাসে সর্ব প্রথম ব্রিটেন এবং আমেরিকায় বেশ কিছু শিশুর মধ্যে এই রোগ ধরা পড়ে।
মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লেমেটরি সিনড্রোম মূলত শিশুদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়, এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা।
মায়ার ডা। সাদিয়া ইসলাম স্বর্ণা এর মতে-
যেহেতু, এমআইএস-সি সম্পুর্ণ নতুন একটি রোগ এবং কোভিড-১৯ এর সাথে সম্পৃক্ত যা সম্পর্কে এখনও বিস্তর গবেষণা চলছে। সুতরাং, শিশুদেরকে প্রতি বিশেষভাবে খেয়াল রাখা ও সতর্কতা বজায় রাখা উচিৎ।
মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লেমেটরি সিনড্রোম কি?
মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লেমেটরি সিন্ড্রোম (এমআইএস-সি) শিশুদের আক্খএকটি রোগ যার জন্য হৃদপিণ্ড, ফুসফুস, কিডনি, মস্তিষ্ক, ত্বক, চোখ বা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অঙ্গসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ প্রদাহ হতে পারে।
এমআইএস-সি কারও কারও ক্ষেত্রে গুরুতর, এমনকি মারাত্মকও হতে পারে, কিন্তু এই রোগে আক্রান্ত বেশীরভাগ শিশুই চিকিৎসা সেবা নিয়ে ভালো হয়ে উঠেছে।
মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লেমেটরি সিনড্রোম এর লক্ষণসমূহ
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের এর মতে শিশুদের মধ্যে যদি নিচের লক্ষণগুলো থাকে তাহলে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে –
- জ্বর থাকবে
- পেটে ব্যথা
- ডায়রিয়া
- বমি
- ঘাড়ে ব্যথা
- র্যাশ
- চোখ লাল হয়ে যাওয়া
- বেশি ক্লান্ত অনুভব করা
তবে সব শিশুর ক্ষেত্রে একই রকমের উপসর্গ নাও থাকতে পারে বলে সতর্ক দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল। সংস্থাটি বলেছে আরো কিছু উপসর্গ থাকতে পারে এই রোগের ক্ষেত্রে। এগুলো হচ্ছে.
- শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা
- বুকে চাপ ও ব্যথা অনুভব করা
- জেগে থাকতে কষ্ট হওয়া
- ঠোঁট এবং মুখ নীলাভ হয়ে যাওয়া
প্রতিকার
মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লেমেটরি সিনড্রোম একটি নতুন রোগ। এর কারণ সম্পর্কে এখনও পর্যাপ্ত তথ্য বা গবেষণা হয় নি।
তবে, এমআইএস-সি আক্রান্ত অনেক শিশুর দেহে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে অথবা তারা সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে ছিল।
সুতরাং, এমআইএস-সি থেকে বাঁচতে কোভিড-১৯ সংক্রমণ এড়িয়ে চলার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শই দেয়া হচ্ছে।
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত যেকোন বিষয়ে সঠিক পরামর্শ এবং তথ্যের জন্য মায়া অ্যাপটি ইন্সটল করুন। বিনামুল্যে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।