- বড়দের পাশাপাশি শিশুদের করোনা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানাটা জরুরী।
- বয়স ও বিকাশ ভেদে তথ্য দেবার পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
- কিছু সচেতনতা ও সদভ্যাস শিশুকে নিরাপদ রাখতে সহায়তা করবে।
নোভেল করোনা ভাইরাস আজ বিশ্ব মহামারীর রুপ নিয়েছে। পুরো পৃথিবী আজ স্থবির এই ভাইরাসের প্রকোপে। অভিভাবক, স্কুল শিক্ষক অথবা শিশুদের নিয়ে যারা কাজ করছেন তারাও চিন্তিত শিশুকে কিভাবে এ সম্পর্কে বুঝাবেন তা নিয়ে। এক্ষেত্রে বড়রা অনেক গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখতে পারেন যেন তাদের কাছে যে তথ্যগুলো যাচ্ছে তা যেন সঠিক এবং কম ভীতিকর হয়। এবিষয়ে সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (CDC) কিছু দিক নির্দেশনা দিয়েছে। চলুন বিস্তারিত জেনে নেই-
শিশুর সাথে আলাপ করার সাধারণ নীতিমালা:
নিজে শান্ত থেকে আশ্বস্ত করুন: মনে রাখবেন যে বাচ্চারা আপনি যা বলবেন এবং কীভাবে বলবেন উভয়ের প্রতিক্রিয়া জানাবে। তাদের সাথে এবং অন্যদের সাথে আপনার কথোপকথন গুলি শুনে সে নিজের মধ্যে একটি ধারণা তৈরী করবে।
সময় নিয়ে কথা বলুন এবং শুনুন: ধৈর্য ধরে শিশুদের কথা শুনুন। তারা যেন প্রশ্ন করার জন্য আপনার কাছে আসে।
অন্যকে দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকুন: কোভিড-১৯ ভাইরাস ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে যেকোন ব্যক্তিকে সংক্রমিত করতে পারে। তাই কে আক্রান্ত হবে এ নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা থেকে বিরত থাকুন।
শিশুরা টেলিভিশন, রেডিও বা অনলাইনে কী দেখবে বা শুনবে সেদিকে মনোযোগী হন: COVID-19 সম্পর্কিত সংবাদ বা বেশি তথ্যবহুল অনুষ্ঠান যেন শিশুরা কম দেখে সে বিষয়ে দৃষ্টি রাখুন। এসব বিষয়ে অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম দিলে তার মাঝে উদ্বেগ বা ভয়ের জন্ম নিতে পারে।
সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্যগুলো সম্পর্কে অবহিত করুন: শিশুদের বয়স এবং বিকাশের স্তর বিবেচনায় নিয়ে সেরুপ তথ্যগুলো তার সাথে আলোচনা করুন। এবং সোশ্যাল মিডিয়া এবং কিছু খবরের কাগজেও যে ভুল তথ্য আসছে সে সম্পর্কে তাকে অবহিত করুন।
সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রতিদিন করনীয় বিষয়গুলো সম্বন্ধে তাকে শিক্ষা দিন:
- হাঁচি কাশি, জ্বর জনিত অসুখে আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে দূরে থাকতে বলুন।
- হাঁচি, কাশির শিষ্টাচার শিখিয়ে দিন এবং ব্যবহৃত টিস্যু সাথে সাথে ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিনে ফেলে দিতে বলুন ।
- বারবার ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ভাইরাস প্রতিরোধে হাত ধোয়ার সঠিক নিয়মগুলো শিখিয়ে দিন।
- সাবান না থাকলে ৬০% অ্যালকোহল যুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে উৎসাহিত করুন। এ বিষয়ে অভিভাবক ছাড়াও শিক্ষকদেরও ভুমিকা রাখতে হবে।
এসব বিষয় ছাড়াও প্রচলিত ভুল ধরণা গুলো সম্পর্কেও তাদের যথেষ্ট সচেতন করতে হবে। আপনার শারিরীক ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার উত্তর জানতে মায়াতে প্রশ্ন করুন। আমরা আপনার পাশেই আছি।
তথ্যসূত্র: সি ডি সি